ইসলামকে কাঁট-ছাঁট করে ফেলা কোন মুমিনের গুণাবলী নয়
মাওলানা আমিনুল ইসলাম :: ইসলাম তার স্বীয় গতিতে চলবে। কোন কাঁট- ছাঁট নেই সেখানে। শরীয়াতে যা আছে, ঠিক তাই থাকবে। কোন বিষয় কমানো যাবেনা, আবার বাড়ানো যাবেনা।
ইসলামে কাঁট- ছাঁট করেছে ইহুদী- খৃষ্টানেরা। তারা নিজের ইচ্ছেমত করে শরীয়াত বানাত। নিজের সুবিধা মত করে শরীয়াতে তৈরী করত তারা। আল্লাহর কিতাবের মধ্যে কমানো বাড়ানো করেছিল।
ইহুদী ও ঈসায়ীগণ শরীয়াতের কিছু বিষয় মানত, আবার কিছু বিষয় অস্বীকৃতি জানাত। এব্যাপারে কুরআনুল কারীমের তার প্রমাণ রয়েছে।
এমনি ভাবে নিজের সুবিধা অনুযায়ী আল্লাহর কিতাবের মাঝেও হেরফের করেছিল। বহু জায়গায় তাহরীফ করেছিল তারা।
বর্তমান যুগেও আমাদের দেশের কিছু আলেম নামধারী মানুষ শরীয়াতের মাসয়ালার ক্ষেত্রে কাঁট- ছাঁট করতে চায়। নিজের ইচ্ছেমত করে কোরআন বুঝতে চায়। মনগড়া ফতোয়া দিতে চায়।
কিছু কিছু মাসয়ালা ঐ ইহুদী ষ্টাইলে কাঁট-ছাট করে সাধারণ জনতার সামনে পেশ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দিয়েছে। একটা সুস্হ পরিবেশকে অস্হিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এটা আসলে কাম্য নয়।
একজন আলেম হিসেবে সঠিক মাসয়ালা জাতির সামনে পেশ করা উচিত। কোন বিভ্রান্তি মুলক কথা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাই সর্বোত্তম কাজ।
এর আগে একজন জবরদন্ত লেখক এই কাজটি করেছিলেন। কোরআন – হাদীসকে নিজের মনগড়া গবেষণা মোতাবেক বুঝতে চেয়ে ছিলেন। এবং সে অনুযায়ী অনেক বিতর্কিত ফতোয়া পেশ করে আলেম- উলামা এবং জনতার মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করেছিলেন তিনি।
ঠিক বর্তমান সময়ের কিছু ব্যক্তি ঐ মেজাজে চলছেন। মানুষকে মনগড়া মাসয়ালা বলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।
আলেম- উলামার এই দেশে ও সকল বিতর্কিত বিষয় গুলি পরিহার করা উচিত। সঠিক ফতোয়া দিয়ে জনগণ কে সোজা পথ দেখানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
বিষয়টি কত বড় নিন্দনীয়, তার কিছু আছর রয়ে গেছে এখনো। অনলাইনে যে ভাবে অশোভন কারবার দেখা যাচ্ছে, এটা সেই কাঁট- ছাঁট ফতোয়ার আছর। এর রেশ কতদিন যাবে আল্লাহ মালুম।
বিজ্ঞ মানুষের এধরনের কাজ পরিহার করতে হবে সব সময়। তার এই আনাড়ীপনার কারণে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে বেশুমার। অনেক ভালবাসার মানুষের সাথে সম্পর্কে ভাটা পড়েছে। ওনার এই ধরনের খামখেয়ালী পনায়, আপন মানুষের মাঝে ডিভাইডেড তৈরী হয়েছে। মুসলিম সমাজে ফেতনা দানা বেঁধে ওঠেছে।
অথচ সঠিক – সহজ পথে চললে এই সমস্যা হতনা। এভাবে ফেতনার দ্বার উম্মোচন হতনা কখনো।
মানুষ মাত্র ভুল আছে। কেউ ভুলের উর্ধে নয়। তবে ভুল ধরা পড়লে মেনে নেওয়া উচিত। ভুল শোধরানো জরুরী। নিজের গবেষনাকে সঠিক মনে করে, ভুলের উপর দৃঢ় থাকা কোন মুমিনের কাজ নয়।
যেমন মানুষ মাত্র গোনাহ করে থাকে। তবে উত্তম ব্যক্তি হল, যে গোনাহ করার পর তওবা করে নেয়।
তদ্রুপ, কারো লেখনী বা বক্তৃতায় ভুল ধরা পড়লে, সঙ্গে সঙ্গে শোধরিয়ে নিতে হবে। আর এই শোধরিয়ে নেওয়া মুমিনের সিফাত।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহী বু্ঝ দান করুন। আমিন।
টাইমস বিডি টোয়েন্টিফোর | বার্তা কক্ষ