কুরবানির ফাজায়েল
মুফ্তী আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন নো’মানী
কুরবানি একটি গুরুত্বপুর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব। এ প্রসঙ্গে মহান রাব্বুল আলামিন কুরআন কারিমে ইরশাদ করেন,‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কুরবানি নির্ধারন করেছি যাতে তাঁরা হালাল পশু জবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারন করে। – হজঃ-৩৪
একদিন হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! কুরবানি কি ? তখন উত্তরে রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করলেন কুরবানি হচ্ছে ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আঃ) এর জীবনাদর্শ ’সাহাবী পুণরায় জিজ্ঞাসা করলেন কুরবানির ফজিলত কি ? রাসুল (সাঃ) বললেন, ‘পশুর পশমের পরিবর্তে একেকটি করে নেকি দেয়া হয়।
-মিশকাত শরিফ: ১/১২৯
রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, কুরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই কুরবানি দাতার কুরবানি আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায় এবং তাঁর অতীতের সকল গুনাহ মোচন করে দেয়া হয় । -তিরমিযি শরীফ । – তিরমিযি শরিফ: ১/১৮০
মহানবী (সাঃ) আরো ইরশাদ করেন, তোমরা মোটা তাজা পশু দেখে কুরবানি কর, কারণ এ পশুই পুলসিরাতের বাহক হবে। -মুসলিম শরিফ
বিশিষ্ট সাহাবি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন ,রাসুল (সাঃ) পবিত্র মদিনায় দশ বৎসর জীবন-যাপন করেছেন প্রত্যেক বছরই তিনি পশু কুরবানি করেছেন।- তিরমিযি শরীফ :১/১৮৯
হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, কুরবানির দিন আল্লাাহর নিকট কুরবানি অপেক্ষা উত্তম কোন আমল আর নেই। – মিশকাত শরিফ
বিখ্যাত সাহাবী হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেতে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেন, সামর্থ্য থাকা স্বত্ত্বেও যে ব্যাক্তিকুরবানির দিন কুরবানি করেনা সে যেন ইদুল আজহার দিন ঈদগাহের ময়দানের কাছে না যায়। -ইবনে মাজাহ শরিফ
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল
মারকাজুফ সুফ্ফা বাংলাদেশ
ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা।