দ্বীন ইসলামে রাজনীতি
এম. হাছিবুল ইসলাম
যারা মনে করে দ্বীন ইসলামের মধ্যে রাজনীতি নেই বা ইসলামকে রাজনীতি থেকে আলাদা রাখা বাঞ্চনীয়’ তারা পথভ্রষ্ঠতায় নিমজ্জিত । আরবী শব্দ سياسة (সিয়াসাত) অর্থ হল: রাজনীতি (Politics), যা ‘কর্তৃত্ব/শাসন ক্ষমতা লাভ করা।
অনেকে নিজেদের বিবেককে লুকিয়ে রেখে জোর করে বলে থাকে যে, ‘ইসলামের সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই’, বা ‘ইসলামের মধ্যে রাজনীতিকে টেনে আনা ঠিক নয়’ (ইসলাম) ধর্ম ও রাজনীতি আলাদা থাকা বাঞ্চনীয় ইত্যাদি !
এ ব্যাপারে সর্ব প্রথমে রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর একটি হাদিস উল্লেখ করতে চাই-
আবু হুরায়রাহ রা. থেকে সহিহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেন-
كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ تَسُوسُهُمْ الْأَنْبِيَاءُ كُلَّمَا هَلَكَ نَبِيٌّ خَلَفَهُ نَبِيٌّ وَإِنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي وَسَيَكُونُ خُلَفَاءُ فَيَكْثُرُونَ قَالُوا فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ فُوا بِبَيْعَةِ الْأَوَّلِ فَالْأَوَّلِ أَعْطُوهُمْ حَقَّهُمْ فَإِنَّ اللَّهَ سَائِلُهُمْ عَمَّا اسْتَرْعَاهُمْ . رواه بخارى فى صحيحه,
বনী ইসরাঈলের সিয়াসাতী (রাজনৈতিক/পলিটিকাল) দায়িত্ব পালন করতেন তাদের নবীগণ। যখনই কোনো নবী মৃত্যুবরণ করতেন, তাঁর খলীফা (স্থলাভিষিক্ত) হতেন (তাঁর পরবর্তী আরেকজন) নবী। আর নিশ্চই আমার পর কোনো নবী নেই। শিঘ্রই (আমার পর রাজনৈতিক/পলিটিকাল দায়িত্ব পালনের জন্য) খলিফাগণ হবেন, পরে (ভাল-মন্দ খলিফা’র সংখ্যা) অনেক হবে।
রাসুল সা. জিজ্ঞেস করা হল: (খলিফাগণ সম্পর্কে) আপনি আমাদেরকে কী নির্দেশ দেন? তিনি বললেন: অনুগত্য করবে তার, যার কাছে প্রথমে বায়েত করা হয়েছে, তারপর (তিনি ইন্তেকাল করলে অনুগত্য করবে তার, যার কাছে) প্রথমে (বায়েত করা হয়েছে)। (তারা খলিফা হিসেবে তোমার কাছ থেকে শরয়ী দৃষ্টিতে যে হক্ব প্রাপ্য), তাদের কাছে তাদের (সে) হক্ব (যথাযথ ভাবে) পৌছে দিবে। নিশ্চই আল্লাহ তাদেরকে যে ব্যাপারে (তোমাদের উপর) পৃষ্ঠপোষক বানিয়েছিলেন, (কেয়ামতের দিন) তাদেরকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। [সহিহ বুখারী, হাদিস ৩৪৫৫; সহিহ মুসলীম– ৩/১৪৭২
উপরের হাদিসে যে বলা হয়েছে, ‘বনী ইসরাঈল’ -এর সিয়াসাতী (রাজনৈতিক/পলিটিকাল) দায়িত্ব পালন করতেন। তাদের কাছে প্রেরিত নবীগণ, এর অর্থ মূলতঃ উপরের পয়েন্ট দুটিতে উল্লেখিত রাজনৈতিক বিষয়গুলিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে আল্লাহ’র নির্দেশক্রমে সংশ্লিষ্ট নবী আ. কর্তৃক দায়িত্ব পালনকে বোঝানো হয়েছে।
আল্লাহ’র নির্দেশক্রমে ক্ষমতাহীন/কর্তৃত্বহীন কোনো নবী আ. কোনো ক্ষমতাসীন/কর্তৃত্বকারীর সাথে রাজনীতিতে জড়ান, কিংবা আংশিক বা পূর্ণ কোনো ক্ষমতাসীন/কর্তৃত্বকারী কোনো নবী আ. কোনো রাজনীতিতে জড়ান -সর্বাবস্থায় রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনই হবে।
নবী ইসহাক আ.-এর পুত্র (মানে নবী ইব্রাহীম আ.-এর নাতী) হলেন নবী ইয়াকুব আ. যাঁর আরেক নাম হল ইরসাঈল।
নবী ইয়াকুব/ইরসাঈল আ. -এর ১২ পুত্র (অর্থাৎ নবী ইউসুফ আ. ও তাঁর ১১ ভাই) ও তাদের বংশধরকে ‘বনী ইসরাঈল’ বলা হয়।
কুরআন কারিমে কয়েকজন নবীর নাম ও তাদের প্রাসঙ্গিক কিছু রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও শাসন ক্ষমতার কিছু ইংগীত পাওয়া যায়।
যেমন: ইউসূফ আ., মূসা আ., দাউদ আ., সুলাইমান আ., প্রমূখ। আমাদের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, খোদ রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেন যে, তাদের নবীগণ সিয়াসাতী (রাজনৈতিক/পলিটিকাল) দায়িত্বও পালন করতেন।
(ক) ইউসূফ আ.: আল্লাহ তাআলা নবী ইউসূফ আ.-কে মিশরের রাজার অধিনস্ত একজন রাষ্ট্রীয় কোষাধ্যক্ষ (অর্থমন্ত্রী/খাদ্যমন্ত্রী ধরনের) হিসেবে ক্ষমতাসীন করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে সূরা ইউসূফ দেখা যেতে পারে।
(খ) মূসা আ.: আল্লাহ তাআলা নবী মূসা আ.-কে ‘তাওরাত কিতাব’ সহকারে বনী ইসরাইলের কাছে একজন রাসুল করে পাঠিয়েছিলেন। ঘটনার পরিক্রমায় বনী ইসরাইলে যে গোষ্ঠিটি তৎকালীন মিশরের জালেম রাজা/শাসক ফেরআইন-এর অধীনে গোলাম হয়ে দীর্ঘকাল ধরে জুলুম অন্যায় অবিচার সয়ে আসছিল, মূসা আ. আল্তালাহ তাআলার নির্দেশক্রমে বনী ইসরাইলে সেই গোষ্ঠিটিকে ফেরআউনের গোলামী থেকে মুক্ত করে আল্লাহ’র গোলামীতে লাগানোর জন্য কী না করেছেন। তার এই জীবন বাজি রাখা তৎপরতার মধ্যে নবুওতী দায়িত্বের সাথে রাজনৈতিক পদক্ষে অতপ্রতভাবে বিজড়িত ছিল।
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন-
إِنَّ فِرْعَوْنَ عَلَا فِي الْأَرْضِ وَجَعَلَ أَهْلَهَا شِيَعًا يَسْتَضْعِفُ طَائِفَةً مِّنْهُمْ يُذَبِّحُ أَبْنَاءَهُمْ وَيَسْتَحْيِي نِسَاءَهُمْ ۚ إِنَّهُ كَانَ مِنَ الْمُفْسِدِينَ . وَنُرِيدُ أَن نَّمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ . وَنُمَكِّنَ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَنُرِيَ فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَجُنُودَهُمَا مِنْهُم مَّا كَانُوا يَحْذَرُونَ
‘নিশ্চই ফেরআউন (তার রাজ্যের) জমিনে (যত্রতত্র) ঔদ্ধত্যকারী (এক প্রভাবশালী জালেম শাসক) ছিল এবং সে (তার ক্ষমতা ও দাপটকে টিকিয়ে রাখার জন্য) সেখানকার অধিবাসীদেরকে (বিভিন্ন) দলে (বিভক্ত) করে রেখেছিল (যাতে তারা এক জোট হয়ে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শক্তি অর্জন করতে না পারে)। সে তাদের একটি অংশকে (অন্যায়-অত্যাচার দ্বারা) দূর্বল করে রাখতো, তাদের ছেলে সন্তানদেরকে জবেহ করতো এবং তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখতো। নিশ্চই সে ছিল (জমিনে) ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীদের একজন। আর আমরা চাইলাম, জমিনে যাদেরকে দূর্বল করে রাখা হয়েছিল আমরা তাদের উপর নেয়ামত দান করবো, (ফেরআউনের স্থলে) তাদেরকে (অন্যদের উপর) ইমাম বানাবো, তাদেরকে (সেই জমিন ও তদস্থ ধ্বনসম্পদের পরবর্তী ওয়ারীস) উত্তরাধিকার বানাবো, তাদেরকে জমিনে ক্ষমতাসীন করবো (কর্তৃত্ব দিবো), এবং ফেরআউন, হামান ও তাদের উভয়ের সৈন্যদেরকে তা দেখিয়ে দিবো, যে ব্যাপারে আশংকা তারা করতো’। [সূরা ক্বাসাস ২-৬]
আল্লাহ তাআলা ফেরাউনের রাজ্যক্ষমতা ও কর্তৃত্বকে ধ্বংস করার পর বনী ইসরাঈল’কে মিশর ও শামের ওয়ারিস বানিয়েছিলেন।
(গ) দাউদ আ.: আল্লাহ তাআলা নবী দাউদ আ.-কে বনী ইসরাঈলের কাছে যাবুর কিতার সহকারে রাসুল রূপে পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁকে এক পর্যায়ে বনী ইসরাঈলের উপরে মুকাম্মাল/পূর্ণ ক্ষমতাসীন ও কর্তৃত্বকারী খলিফা বানিয়েছিলেন।
ফলে একজন শাসক যে সকল রাজনৈতিক বিষয়ে লিপ্ত থাকে, তার সবগুলিই নবী দাউদ আ. তাঁর উপরে নাজিলকৃত ‘যাবুর কিতাব’ ও তাঁর ‘সুন্নাহ’ অনুযায়ী নবীসুলভ ইনসাফের সাথে ব্যবহার করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ছিলেন।
ফলে তিনি পূর্ণ ক্ষমতার সাথে তাঁর অধীনস্ত বনী ইসরাঈলের উপরে আল্লাহ’র বিধান জারি করতে পারতেন, তাদের মাঝে বিচার ফয়সালা করতে পারতেন, এমনকি প্রয়োজনে শত্রুর সাথে জিহাদও করতে পারতেন ইত্যাদি।
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন-
فَهَزَمُوهُم بِإِذْنِ اللَّهِ وَقَتَلَ دَاوُودُ جَالُوتَ وَآتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَهُ مِمَّا يَشَاءُ ۗ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّفَسَدَتِ الْأَرْضُ وَلَٰكِنَّ اللَّهَ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْعَالَمِينَ
‘তখন আল্লাহ’র ইচ্ছায় তারা (যুদ্ধ ক্ষেত্রে) ওদেরকে পরাজিত করে দিল এবং (নবী) দাউদ (তার দুশমন) জালুতকে কতল করলো। আর আল্লাহ তাকে দিয়েছিলেন মুলক (রাজ্যক্ষমতা) ও হিকমাহ এবং তাকে যা ইচ্ছা শিখিয়েছিলেন। আর আল্লাহ যদি (বিভিন্ন জামানায়) মানুষের একদলকে অপরদল দ্বারা প্রতিহত না করতে থাকতেন, তাহলে (একটি ক্ষমতালোভী উদ্ধত্ব্যবাদী গোষ্ঠি) পৃথিবীকে অবশ্যই বিশৃঙ্খল/ফ্যাসাদময় বানিয়ে দিতো। কিন্তু আল্লাহ হলেন বিশ্ববাসীর উপর অনুগ্রহকারী’। [সূরা বাকারাহ ২৫১]
আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন-
يَا دَاوُودُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيفَةً فِي الْأَرْضِ فَاحْكُم بَيْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَىٰ فَيُضِلَّكَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ ۚ إِنَّ الَّذِينَ يَضِلُّونَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ بِمَا نَسُوا يَوْمَ الْحِسَابِ
‘হে দাউদ! নিশ্চই আমরা তোমাকে জমিনে খলিফা বনিয়েছি। সুতরাং, তুমি মানুষজনের মাঝে (তোমার প্রতি আমার নাজিলকৃত শরীয়ত অনুযায়ী) হক্ব সহকারে (ইনসাফের সাথে) বিচার-ফয়সালা করো এবং কুপ্রবৃত্তির অনুগামী হয়ো না। তাহলে তা তোমাকে আল্লাহ’র পথ থেকে ভ্রষ্ঠ করে দিবে। নিশ্চই যারা আল্লাহ’র পথ থেকে ভ্রষ্ঠ হয়ে যায়, তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ আযাব -তা এজন্য যে তারা হিসাবের দিনকে ভুলে গিয়েছিল’। [সূরা সা’দ ২৬]
একথা সবাই জানে যে, ইসলাম ‘খিলাফত’ -এ বিশ্বাসী, যা কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালিত হওয়ার জিনিস। কে না জানে যে, বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ যেমন ছিলেন সর্বশেষ নবী ও রাসুল, তেমনি ছিলেন মুসলমানদের আমীর, ইসলামী রাষ্ট্রের ‘খলিফা’ (নির্বাহীপ্রধান), প্রধান বিচারপতি, অর্থায়ন বিভাগের প্রধান (গভর্নর), প্রধান মুফতী, জিহাদ ও গাযওয়া’র প্রধান-পরিচালক (সেনাপ্রধান), কোনো কোনো জিহাদের প্রধান সেনাপতি (Commander in Chief)। তেমনি একথা কে না জানে যে, তাঁর পর মুসলীম উম্মাহ’র খলিফা হয়েছিলেন যথাক্রমে হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা., হযরত ওমর ফারুক রা., হযরত ওসমান গণী রা. এবং হযরত আলী রা., যাঁরা সর্বসম্মতিক্রমে খুলাফায়ে রাশেদীন (সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত খলিফা) হিসেবে পরিচিত।
তাঁরা কি কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালনা করে ‘খুলাফায়ে রাশেদীন’ হতে পেরেছিলেন, নাকি কুরআন-সুন্নাহ’কে রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে ছেটে ফেলে দিয়ে?!
কুরআন সুন্নাহ বাদ দিলে কি কেউ সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে, না পথভ্রষ্ঠ হয়ে যায়? আপনারাই বলুন, বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ ও চার খলিফায়ে রাশেদ’গণ কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক ইসলামী খিলাফত পরিচালিত করেছেন।
শাসন ক্ষমতা লাভ করার পর: রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব হলো-
১. নামাজ কায়েম করা।
২.জাকাতের বিধান বাস্তবায়ন করা
৩.সৎকাজে আদেশ দেয়া
৪.অসৎকাজে বাধা প্রদান করা এছাড়াও গুরুপুর্ণ কাজগুলি হল-
(ক) অধীনস্ত জনগণের মৌলিক প্রয়োজনাদি পূরণ করা।
(খ) জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মী ব্যবস্থাপনার বন্দোবস্ত করা।
(গ) অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ব্যবস্থা করা।
(ঘ) বহিঃদেশীয় শত্রু থেকে নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তাকমী, যোদ্ধা ও এতদসংশ্লিষ্ট যাবতীয় ব্যবস্থাপনার বন্দোবস্ত করা।
(ঙ) বহিঃদেশীয় সরকারের সাথে বিভিন্ন চুক্তি ও যোগাযোগ রক্ষা করা।
(চ) প্রয়োজনে শত্রুর সাথে যুদ্ধ ঘোষনা ও পরিচালনাগত যাবতীয় বিষয় নিশ্চিত করা।
(ছ) সর্বোপরি যে মৌলিক আদর্শ, মূলনীতি ও চেতনার ভিত্তিতে ইসলামী রাষ্ট্র গঠিত হয়েছে তার সংরক্ষনের সুব্যবস্থা করা।
কেয়ামতের আগ পর্যন্ত -যতদিন এই উম্মতের জন্য ইসলামী শরীয়ত থাকবে- দ্বীন ইসলামের মধ্যে সিয়াসাত তথা রাজনীতি ওতপ্রত ভাবে জড়িত থাকবে।
যারা মনে করে দ্বীন ইসলামের মধ্যে রাজনীতি নেই বা ইসলামকে রাজনীতি থেকে আলাদা রাখা বাঞ্চনীয়’ তারা পথভ্রষ্ঠ।
শুধু পথভ্রষ্ঠতা নয়, বরং এই পথভ্রষ্ঠতা যে কুফর পর্যন্ত গড়াতে পারে। অতএব, সকলের সতর্কতার সাথে কথা বলা উচিত।
লেখক: আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট।